লন্ডনে ইংলিশ ডিফেন্স লীগ নেতা টমি রবিনসনের ডাকে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের হয় লড়াই করতে হবে অথবা মরতে হবে।” তিনি যুক্তরাজ্যে “সংসদ ভেঙে দেওয়া” এবং “সরকার পরিবর্তনের”ও দাবি তোলেন।
শনিবার লন্ডনের এই সমাবেশে মাস্কের উত্তেজিত জনতা “ইলন মাস্ক” এবং “ইলন” স্লোগান দিতে থাকে। তবে তার এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো। লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা এড ডেভি বলেন, “মাস্ক ব্রিটিশ জনগণ বা আমাদের অধিকার সম্পর্কে চিন্তা করে না। তিনি কেবল নিজেকে এবং তার অহংকার নিয়ে চিন্তিত।” লেবার পার্টির এক সূত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলে, “সহিংসতার হুমকির আমাদের রাজনীতিতে কোন স্থান নেই এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী প্রতিটি রাজনীতিবিদের এই জঘন্য মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।”
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে ২৬ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজন গুরুতর আহত। পুলিশ এই সহিংসতাকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে আখ্যায়িত করে।

প্রায় ১,১০,০০০ মানুষ টমি রবিনসনের ডাকা “ইউনাইট দ্য কিংডাম” সমাবেশে যোগ দেয় বলে অনুমান করা হচ্ছে। অন্যদিকে, স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম (এসইউটিআর) এর ডাকে বিরোধী বিক্ষোভে প্রায় ৫,০০০ মানুষ অংশ নেয়। দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ রোধ করতে ১,০০০ এরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয় এবং একটি বড় “নিরপেক্ষ এলাকা” তৈরি করা হয়।
টমি রবিনসন, যার আসল নাম স্টিফেন ইয়্যাক্সলি-লেনন, একজন বিতর্কিত দক্ষিণপন্থী এবং ইংলিশ ডিফেন্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা, যাকে ইসলামবিরোধী বক্তব্যের জন্য পরিচিত। তার এই সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্রিটিশ পুলিশ।