আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক জটিলতা ও সম্ভাব্য জোট গঠনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে জামায়াত।

প্রধান বিরোধী দল বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে তার এককালীন মিত্র জামায়াতে ইসলামীকে। জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিজেই একটি ইসলামপন্থী জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

জামায়াতের মনোবল ও কৌশল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাকসু) নির্বাচনে তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে জামায়াত জাতীয় নির্বাচনেও ‘মিরাকল’ ফলাফলের আশা করছে। তারা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, সমান সুযোগের দাবি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে।

বিএনপির প্রস্তুতি কৌশল: বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন কোনো জোট ঘোষণা না করলেও, সমমনা দলগুলোর সাথে আসন বন্টন ও সমঝোতার মাধ্যমে চলেছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জাতীয় সরকার গঠন ও ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছেন।

রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস (রি-অ্যালাইনমেন্ট): বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাবে, অথবা এর মধ্যে কোনো দুই দল জোট বাঁধতে পারে। ইসলামপন্থী বা ধর্মনিরপেক্ষ/বামপন্থী দলগুলোর মধ্যে আলাদা ঐক্য।

অনিশ্চয়তা: ডাকসু-জাকসুর ফলাফলের পর সরকার কী কৌশল নেয় বা নির্বাচন নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয় কি না, তা নিয়ে বিএনপির কিছু নেতার মধ্যে সংশয় রয়েছে।

সারসংক্ষেপ: নিবন্ধটি ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটি জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, যেখানে ঐতিহ্যবাহী জোট ভেঙে নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। জামায়াত তার শক্তি প্রদর্শন করে একটি স্বতন্ত্র শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছে, যা বিএনপির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। একই সাথে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ধারার মধ্যে আলোচনা ও সম্ভাব্য পুনর্বিন্যাস চলছে, যা আগামী নির্বাচনের ফলাফলকে অনিশ্চিত এবং জটিল করে তুলতে পারে।