ওসমানী হাসপাতালে অভিযানে যেসব অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা খুঁজে পেল দুদক

সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয়টি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও রোগীরা কখনোই এসবের সেবা পান না। অথচ গত মাসে একটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জ্বালানি খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার টাকা, যেখানে আয়ের হিসাব মাত্র ১৯ হাজার। বাকি ১৮ হাজার টাকাকে লোকসান হিসেবে দেখানো হয়েছে, কিন্তু কী কাজে বা কাদের পরিবহনে এসব ব্যয় হয়েছে—তার কোনো তথ্য নেই। এমনকি রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া ভাড়ার রসিদও হাসপাতালে সংরক্ষিত নেই।

বুধবার হাসপাতালটিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে এই অনিয়মসহ একাধিক অসঙ্গতির প্রমাণ মেলে। দুদকের ধারণা, প্রতিমাসে এমনভাবেই অ্যাম্বুলেন্সগুলোর নামে সরকার থেকে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে।

দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে চালানো অভিযানে আরও উঠে আসে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা সংকট, কর্মীদের বেতন-বঞ্চনা, ঘুষ লেনদেন, রোগীর খাবার ও ওষুধ সরবরাহে অনিয়মের মতো গুরুতর বিষয়গুলো। আউটসোর্সিংয়ের ২৬২ জন কর্মী মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন।

রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার ও ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয় না, বরং ওষুধ বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অনিয়মে হাসপাতালের ভেতরে একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট জড়িত বলে ধারণা করছে দুদক।

অভিযান শেষে দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা মিলেছে এবং বিষয়টি নিয়ে আরও গভীর তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।